
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস জেইন টেরোরিজম অ্যান্ড ইনসার্জেন্সি সেন্টার তাদের জরিপের ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
তাদের জরিপ অনুযায়ী, এধরনের অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র সংগঠনের মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বারিসান রেভোলুসি নাসিওনাল এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তালিবান। এরপরেই রয়েছে বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবির।
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী), পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ইরাকের আল-কায়েদা। ষষ্ঠ অবস্থানে সোমালিয়ার আল শাবাব, সপ্তম অবস্থানে কলম্বিয়ার ফার্ক,
অষ্টম অবস্থানে ফিলিপাইনের নিউ পিপলস আর্মি রয়েছে।নবম ও দশম অবস্থানে আছে যথাক্রমে সিরিয়ার জাবাত আল-নুসরা এবং নেপালের মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি।
১৯৯৭ সাল থেকে আইএইচএস জেইন এ ধরনের উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে আসছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে।
স্বাধীনতার আগে জামায়াতে ইসলামী এই ছাত্রসংগঠনটির নাম ছিলো ইসলামী ছাত্রসংঘ। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ‘ইসলামী ছাত্রশিবির’ নাম নিয়ে পুনরায় আতœপ্রকাশ ঘটে সংগঠনটির।
২০১২ সালের শেষদিকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পরপরই পুলিশের ওপর ঝটিকা মিছিল থেকে হামলা চালানো শুরু করে ইসলামী ছাত্র শিবির।
এরপর বিভিন্ন সময়ে নাশকতা ও চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা ও আহত করার জন্য সংগঠনটিকে দায়ী করে আসছে সরকার ও পুলিশ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইএইচএস বিশ্বের ১৬৫টি দেশের ভোক্তাদের জন্য বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা চালিয়ে থাকে।
জেইন টেরোরিজম অ্যান্ড ইনসার্জেন্সি সেন্টার মূলত যুক্তরাজ্যের একটি সামরিক জরিপ প্রতিষ্ঠান যা পরে যুক্তরাষ্ট্রের আইএইচএসে’র সঙ্গে যুক্ত হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন