শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৪

সেতুর উপর বসত বাড়ি !

ইতালির Ponte Vecchio সেতুটি ইতালির সব থেকে পুরাতন সেতু গুলির মধ্যে একটি। ধারনা করা হয় এটি রোমান সম্রাজ্যের সময় তৈরি করা হয়েছিল। ১৩৪৫ সালে এক ভয়াবহ বন্যায় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেতুটি পুনঃনির্মান করা হয়। আর তখন থেকেই এই সেতুর উপর বসত বাড়ি বানানো শুরু হয়। তৎকালীন সময়ে এই সেতুতে গড়ে ওঠে কসাই এবং চামড়া ব্যাবসায়িদের দোকান। কিন্তু পরবর্তিতে ১৫৯৩ সালে Duke Ferdinand এর আদেশে এই সকল কসাই এবং চামড়া ব্যাবসায়িদের সরিয়ে দিয়ে সোনার দোকান বসানো হয়।সেই ১৫৯৩ সাল থেকে এই সেতুটি নতুন এবং ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের স্বর্নালংকারের দোকানের জন্য বেশ বিখ্যাত। তবে বর্তমানে স্বর্নের দোকানের পাশে আরো নতুন নতুন দোকান গড়ে উঠেছে।

রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৪

নারী বিষয়ক মহাজ্ঞানীদের নির্বাচিত ১০টি উক্তি

…………………………………………..সঙগ্রহ:-রুহুল আমীন ১) নারী জাতি যুক্তি বোঝেনা ওরা সর্বক্ষেত্রে কেঁদে জিততে চায়।- রবী ঠাকুর ২)দুনিয়ার সবচেয়ে মস্ত হেয়ালী হচ্ছে মেয়েদের মন।-কাজী নজরুল ইসলাম ৩) নারীর সাহচার্যে একজন পুরুষ চিন্তাশীল ও সচেতন হয়ে নবসমাজ নির্মাণে সুদর্ঢ়ভূমিকা রাখতে পারে।– লেলিন ৪)নারীরা সৌন্দর্যের প্রতীক যেমন তেমনি নিবুদ্ধিতারও প্রতীক।– কনরাডে ৫) কাঁঠালের রস যেমন মিষ্টি নারীও তেমনি মিষ্টি কিন্তুতাকে খেতে গেলে হাতে যে আঠা লাগে তা এতো বিশ্রী যে তা খেতে যাওয়ার আগে সাবধান হতে হয়।- ডেল কাণের্গী ৬) মেয়ে মানুষ চিনেছেন বলে অহংকার করবেন না। কেননা আপনি জানেন না আরএকটি মেয়ে আপনাকে কি শিক্ষা দেবে।- জিলেন বাগেস ৭) চুমু খেলে কোন কোন মেয়ে লাল হয়ে উঠে, কেউ কেউ পুলিশ ডাকে, কেউ কেউ গালাগালি করে উঠে-কেউ কামড়ে দেয়। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ তারাই যারা হো হো করে হেসে উঠৈ-উইলিয়াম বাই ৮)দুষ্ট মেয়ে মানুষের মত অশুভ আর নেই এবং সৎ মেয়ে মানুষের মতো ঈশ্বর আর কিছুসৃষ্টি করতে পারেনি। -ইউরিপডিস ৯) একজন পুরুষ সর্বদায় অর্থ উপার্জনের ধান্ধায় থাকে আর একজন নারী সর্বদায় তার দেহ গঠননিয়ে ব্যস্ত থাকে।–বাটলার ১০) নারী হলো অনবদ্য শিল্প সৃষ্টির প্রধান অনুপ্রেরণা, যুবতীর দেহের ভাজেঁ ভাজেঁ শত শতকবিতা লুকিয়া থাকে।- লুৎফর রহমান সরকার

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র সংগঠন ছাত্রশিবির

রুহুল আমীন: ২০১৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সবচেয়ে সক্রিয় অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র সংগঠনগুলোর তালিকায় তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ইসলামী ছাত্র শিবির।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস জেইন টেরোরিজম অ্যান্ড ইনসার্জেন্সি সেন্টার তাদের জরিপের ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

তাদের জরিপ অনুযায়ী, এধরনের অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র সংগঠনের মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বারিসান রেভোলুসি নাসিওনাল এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তালিবান। এরপরেই রয়েছে বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবির।

চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী), পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ইরাকের আল-কায়েদা। ষষ্ঠ অবস্থানে সোমালিয়ার আল শাবাব, সপ্তম অবস্থানে কলম্বিয়ার ফার্ক,

অষ্টম অবস্থানে ফিলিপাইনের নিউ পিপলস আর্মি রয়েছে।নবম ও দশম অবস্থানে আছে যথাক্রমে সিরিয়ার জাবাত আল-নুসরা এবং নেপালের মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি।


আইএইচএস’র ওয়েবসাইটে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন দেশের উন্মুক্ত সূত্র থেকে প্রাপ্ত উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবছর আইএইচএস জেইন টেরোরিজম অ্যান্ড ইনসার্জেন্সি সেন্টার সূচক অনুযায়ী এ তালিকা প্রস্তুত করা হয় প্রতিষ্ঠানটির ভোক্তাদের জন্য।

১৯৯৭ সাল থেকে আইএইচএস জেইন এ ধরনের উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে আসছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে।

স্বাধীনতার আগে জামায়াতে ইসলামী এই ছাত্রসংগঠনটির নাম ছিলো ইসলামী ছাত্রসংঘ। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ‘ইসলামী ছাত্রশিবির’ নাম নিয়ে পুনরায় আতœপ্রকাশ ঘটে সংগঠনটির।

২০১২ সালের শেষদিকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পরপরই পুলিশের ওপর ঝটিকা মিছিল থেকে হামলা চালানো শুরু করে ইসলামী ছাত্র শিবির।

এরপর বিভিন্ন সময়ে নাশকতা ও চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা ও আহত করার জন্য সংগঠনটিকে দায়ী করে আসছে সরকার ও পুলিশ।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইএইচএস বিশ্বের ১৬৫টি দেশের ভোক্তাদের জন্য বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা চালিয়ে থাকে।

 জেইন টেরোরিজম অ্যান্ড ইনসার্জেন্সি সেন্টার মূলত যুক্তরাজ্যের একটি সামরিক জরিপ প্রতিষ্ঠান যা পরে যুক্তরাষ্ট্রের আইএইচএসে’র সঙ্গে যুক্ত হয়।




শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৪

যাদের ঝুলিতে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০১৪



রুহুল আমীন,ঢাকা: রণবীর কাপুর ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৫৯তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান-২০১৪। বলিউড জগতের সবচেয়ে বড় সম্মানজনক এই পুরস্কার অর্জন করতেই পুরো একটি বছর খেটে যান তারকারা। পুরস্কার প্রাপ্তরা হাসিমুখেই ফিরেছেন যে যার বাড়িতে অন্যদিকে যারা পাননি তারা ফিরেছেন বেজার মুখে।

এবার সবচেয়ে বেশি পুরস্কার ঘরে তুলেছে ‘ভাগ মিলখা ভাগ, ‘ডি ডে’, ‘লাঞ্চবক্স’ ও ‘আশিকী টু’ ছবিগুলো। ‘রাম-লীলা’ ছবিটির জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। শাহরুখ খানের ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ছবিটি কোনো পুরস্কারই পায়নি। ২০১৪ সালের ফিল্মফেয়ার পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা দেয়া হল-

সেরা ছবি: ভাগ মিলখা ভাগ
সেরা পরিচালক: রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা (ভাগ মিলখা ভাগ)
সেরা অভিনেতা: ফারহান আখতার (ভাগ মিলখা ভাগ)
সেরা অভিনেত্রী: দীপিকা পাড়ুকোন (রাম-লীলা)

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী: সুপ্রিয়া পাঠক কাপুর (রাম-লীলা)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা: নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দীকি (লাঞ্চবক্স)

সেরা নবাগত অভিনেতা: ধানুশ (রঞ্জনা)
সেরা নবাগত অভিনেত্রী: ভানি কাপুর (শুদ্ধ দেশী রোমান্স)
সেরা নবাগত পরিচালক: রিতেশ বাত্রা (লাঞ্চবক্স)

সেরা অভিনেতা (সমালোচক) : রাজকুমার রাও (শহীদ)
সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক): শিল্পা শুক্লা (বি এ পাস)
সেরা ছবি (সমালোচক): (লাঞ্চবক্স)

আজীবন সম্মাননা পুরস্কার: তনুজা
আর ডি বর্মন অ্যাওয়ার্ড: সিদ্ধার্থ মহাদেব

সেরা সংগীত: মিঠুন, অঙ্কিত তিওয়ারি, জিত গাঙ্গুলী (আশিকী টু)
সেরা প্লেব্যাক গায়ক: অরিজিত সিং (তুম হি হো- আশিকী টু)
সেরা প্লেব্যাক গায়িকা: মোনালি ঠাকুর (সাওয়ার- লুটেরা)
সেরা লিরিকস: প্রসুন জোশি (জিন্দা-ভাগ মিলখা ভাগ)

সেরা অ্যাকশন: থমাস স্টুথারস ও গুরু বচ্চন (ডি ডে)
সেরা ব্যকগ্রাউন্ড স্কোর: হিতেশ সোনিক (কাই পো চে)
সেরা কোরিওগ্রাফি: সামির ও অর্শ তান্না (লাহু মু লাগ গায়া- রাম-লীলা)
সেরা সিনেমাটোগ্রাফি: কমলাজিৎ নেগাই (মাদ্রাজ ক্যাফে)

সেরা কস্টিউম: দোলি আহলুয়ালিয়া ( ভাগ মিলখা ভাগ)
সেরা ডায়ালগ: সুভাষ কাপুর (জলি এলএলবি)
সেরা সম্পাদনা: আরিফ শেখ (ডি ডে)
সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন: অ্যাক্রোপোলিস ডিজাইন(ভাগ মিলখা ভাগ)
সেরা গল্প: সুভাষ কাপুর ( জলি এলএলবি)
সেরা শব্দ পরিকল্পনা: বিশ্বদ্বীপ চ্যাটার্জি ও নোহার রজন সামাল (মাদ্রাজ ক্যাফে)
সেরা চিত্রনাট্য: চেতন ভগত, অভিশে কাপুর, সুপ্রাটিক সেন ও পুবালি চৌধুরী (কাই পো চে)



শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৪

বাবা হয়ে রেকর্ড গড়লেন রামাজিত !



রুহুল আমীন,ঢাকা: মানুষের শখ-আহ্লাদ বলে তো একটা কথা আছে, তাই নয় কি? তাই বলে এ ধরনের শখ! ভালোভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, বুড়ো বয়সে ভীমরতি। ঠিক এটা ভীমরতিও নয়, বরং একটা আজব রেকর্ড।

 আর এ রেকর্ড গড়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন ভারতের এক মানুষ। বয়স খুব একটা বেশি না হলেও কারো থেকে কম নয়। তবে এমন আজব আজব ঘটনা কিন্তু পৃথিবীতে বিরল। আজ আমরা সেই বয়স্ক বাবার কথা জানব।

পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক বাবা হওয়ার রেকর্ড গড়লেন ৯৪ বছর বয়সী ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের এক কৃষক রামাজিত রাঘব। তিনি ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের খারখোদা গ্রামে বসবাস করেন।

 এ পর্যন্ত তিনি ৪টি বিয়ে করেন। আর তার মোট সন্তানের সংখ্যা ২২টি। এর মধ্যে ছেলের সংখ্যা ১৩ জন আর মেয়ের সংখ্যা ৯ জন।

যে সন্তান হওয়ার পর রামাজিত রাঘব এই রেকর্ড গড়েন সে হলো পুত্র সন্তান। তবে এর আগেই রামাজিত রাঘব পৃথিবীর সবচাইতে বয়স্ক বাবার খাতায় নাম লেখান এক কন্যা সন্তান জন্ম দিয়ে ২০০৮ সালে। সেই কন্যা সন্তানের নাম গিরিজা রাজকুমারী।

২৫ বছর বয়সে রামাজিত ২য় বিয়ে করেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, রামাজিত রাঘবের এক আজব ইচ্ছা, সেটা হলো তার বয়স ১০০ বছর না হওয়া পর্যন্ত তিনি সন্তান নিতেই থাকবেন।

রামাজিত রাঘবের প্রথম কন্যা জন্ম নেয় ১৯৪৩ সালে। তার নাম সীতা দেবী। আর তার প্রথম পুত্র সন্তান ১৪ বছর আগে মারা যান।

 রামাজিত রাঘব তার ছেলেমেয়ে আর নাতি-নাতনিদের নিয়ে এক সঙ্গেই থাকেন। তবে পরিবারের সদস্য বেশি হওয়ায় পাশাপাশি ৬টি বাড়িতে সবাই মিলে থাকেন।

রামজিত বলেন, তিনি এখনো বৃদ্ধ হননি। নিজের মাঝে তিনি তারুণ্য এখনো দেখতে পান। রামাজিত রাঘব কৃষিকাজ করলেও যৌবনে তিনি ছিলেন একজন কুস্তিগীর।

সম্ভবত ভালো ভালো খাবার খাওয়ার কারণে তর বাবা হওয়ার ক্ষমতা এখনও হারিয়ে যায়নি। রামাজিত রাঘব বলেন, তিনি আরও অনেক দিন বাঁচবেন। আর তার সদ্য জন্মানো পুত্রের সঙ্গে মজা করবেন।





বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

গণজাগরণ মঞ্চের পর্যবেক্ষণ প্রতিবদেন-সাম্প্রদায়িক হামলার ব্যর্থতার বড় দায় ইসির



রুহুল আমীন,ঢাকা: গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী যেসব সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে সেসব ব্যর্থতার বড় দায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি তিন দিনব্যাপী গণজাগরণ মঞ্চের ঠাকুরগাঁও অভিমুখী রোডমার্চের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরি, আক্রান্তদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ ও সহযোগিতা করার জন্য তিন দিনব্যাপী ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও অভিমুখী দ্বিতীয় রোডমার্চের ডাক দিয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চ।

রোডমার্চে যাওয়ার পথে বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা আমাদের উপর ককটেল ও হাতবোমার আক্রমণ করেছিল, জনসভাস্থলে বোমাবাজিও করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা এসব বাধা অতিক্রম করে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।

এসময় যাত্রাপথে আমরা অন্তত ৩০টি পথসভা ও সমাবেশ করেছি। যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘ওইসব জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলার প্রকৃত কারণ ও হামলা প্রতিহত করার ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে আমরা ১৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস টিম গঠন করি।

 ওই টিমের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের অন্যান্য স্থানের মতো এখানেও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিরোধে প্রশাসনের নজিরবিহীন ব্যর্থতা ছিল।

আক্রান্তরা অনেকবার অবহিত করলেও প্রসাশন সেখানে উপস্থিত হয়নি। ফলে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি নির্বাচনের পক্ষের দলও এ হামলার শিকার হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘সম্প্রতি দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক হামলার মূল কারণ ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই এ হামলার আশঙ্কা করা হয়। পরে সাম্প্রদায়িক ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে শুরু হয় এ হামলা।

 যা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় এসব হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে গণজাগরণ মঞ্চ সরকারের কাছে সুস্পষ্ট তিনটি দাবি পেশ করেছি।

 এই দাবিগুলো হচ্ছে- সাম্প্রদায়িক এসব সামাজিক সন্ত্রাসরোধে আলাদাভাবে আইন তৈরি করা; দায়ি ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে গ্রেপ্তার করে অবিলম্বে বিশেষ ট্র্যাইবুনালে দ্রুত তাদের বিচার করা;

 সারাদেশে হামলার শিকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ক্ষতি নিরূপণ করে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।’

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৪

বসবাসের "অযোগ্য" বিশ্বের ১০টি শহর

রুহুল আমীন,ঢাকা:‘দ্য টেলিগ্রাফ’ পত্রিকা প্রকাশ করেছে বিশ্বের বসবাসের অযোগ্য শীর্ষ ১০ শহরের তালিকা।

Economist Intelligence Unit এর global “liveability” study  মূলত বিশ্বের বিভিন্ন শহরের অপরাধ মাত্রা,

সংঘর্ষের আশঙ্কা, চিকিৎসা ব্যবস্থার মান, গণমাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণ, তাপমাত্রা, স্কুল ও যাতায়াত ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়েছে।

 আর এর মাধ্যমেই উঠে আসে একটি শহর কতটুকু বসবাসের যোগ্য কিংবা অযোগ্য সেই তথ্যটি। সবচাইতে ভয়ংকর তথ্যটি শুনবেন? তালিকায় প্রথম অবস্থানটি দখল করে আছে আমাদের রাজধানী ঢাকা!



(১)ঢাকা, বাংলাদেশঃবিশ্বের বসবাসের অযোগ্য শীর্ষ ১০ শহরের প্রথম স্থানে আছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ডেইলি টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢাকার স্কোর ১০০ তে ৩৮.৭।



(২)পোর্ট মরেসবে, পাপুয়া নিউ গিনিঃদ্বিতীয় অবস্থানে আছে পাপুয়া নিউ গিনির শহর পোর্ট মরেসবে। এ শহরের স্কোর ১০০ তে ৩৮.৯।


(৩)লাগোস,নাইজেরিয়াঃতালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নাইজেরিয়ার লাগোস শহর। শহরটির স্কোর ৩৯.০।


(৪)হারারে,জিম্বাবুয়েঃজিম্বাবুয়ের রাজধানী এ শহরটি নেমে এসেছে তালিকার চার নম্বরে, স্কোর ৩৯.৪।


(৫)আলজিয়ার্স,আলজেরিয়াঃ৪০.৯ স্কোর নিয়ে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্স রয়েছে ৫ম অবস্থানে।



(৬)করাচী,পাকিস্তানঃপাকিস্তানের এ শহর রয়েছে তালিকার ৬ষ্ঠ অবস্থানে। স্কোর- ৪০.৯।


(৭)ত্রিপোলি,লিবিয়াঃগাদ্দাফি পরবর্তী যুগে লিবিয়ার রাজধানী এ শহরটির স্কোর ৪২.৮।



(৮)ক্যামেরুনঃ ৪৩.৩ স্কোর নিয়ে অষ্টম অবস্থানে আছে ক্যামেরুনের এ শহর।


(৯)তেহরান,ইরানঃইরানের রাজধানী তেহরান রয়েছে তালিকার নবম অবস্থানে। স্কোর ৪৫.৮।



(১০)আবিদজান,আইভরি কোস্টঃতালিকার দশম অবস্থানে রয়েছে আবিদজান। ১০০তে এ শহরের স্কোর ৪৫.৯।